কক্সবাজার এক্সপ্রেসের বিরিয়ানিতে ‘দুর্গন্ধ’, বিকেলে নাস্তার সঙ্কট
পর্যটন শহর কক্সবাজার থেকে প্রথম বিরতিহীন ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ (৮১৩) ঢাকায় পৌঁছেছে। দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশন থেকে যাত্রা করে ট্রেনটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায় রাত ৯টা ৪০মিনিটে। দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা ১০ মিনিটের যাত্রাপথে ট্রেনে পচা-বাসি খাবার পরিবেশনের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। একই সঙ্গে ট্রেনে ছিল না পর্যাপ্ত খাবার।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে প্রথম ট্রেনে আসা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এসব অভিযোগের কথা জানা যায়।
যাত্রীরা বলছেন, দীর্ঘ যাত্রাপথের বিরতিহীন ট্রেনে যদি খাবার এমন দুর্গন্ধযুক্ত হয় তবে এটি বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়। এ অবস্থা থাকলে যাত্রীরা এই পথের রেলসেবা থেকে বিমুখ হতে পারে। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে আসা একজন সরকারি কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ট্রেনের ক্যাটারিংয়ে যেমন খাবার থাকে আজও তেমন খাবারই পেয়েছি। দুপুরে চিকেন বিরিয়ানি খেয়েছি। ওই খাবারের প্যাকেটে ছিল এক পিস চিকেন, একটার ডিম এবং রাইস। এটার দাম নিয়েছিল ১৮০ টাকা। তবে খাবারে দুর্গন্ধ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেনে বিকেলের নাস্তা যাত্রী তুলনায় কম ছিল। অনেক যাত্রী না খেয়েই এসেছেন। যাত্রী সেবার পাশাপাশি রেলওয়ের খাবারের দিকে নজর দেওয়া উচিৎ।’
কক্সবাজার থেকে আসা শিক্ষার্থী এরশাদুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ট্রেনে এক পিস চিকেন, দুই পিস ব্রেডের সঙ্গে জেলি নিয়েছিলাম ১৮০ টাকায়। খাবারটা ততটা ভালো মানের ছিল না। দামও বেশি নিয়েছে।’
আরেক যাত্রী তাওহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘ট্রেনে হাজারের বেশি যাত্রী ছিল। যাত্রাপথে খাবারের কষ্ট হয়েছে। চিকেন বিরিয়ানি একেবারে বাজে ছিল, দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। ক্যাটারিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরা হয়ত ঠিকভাবে খাবার সংরক্ষণ করে নাই। দীর্ঘপথের বিরতিহীন এ ট্রেনের খাবারের দিকে যদি কর্তৃপক্ষ নজর না দেয় তাহলে যাত্রীরা ট্রেনবিমুখ হতে পরে।’
এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে দুপুরের পর থেকে সামাজিক মাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। নিলয় দাস জয় নামের একজন লিখেছেন, প্রথম ট্রিপেই কক্সবাজার এক্সপ্রেসে বাসি বিরিয়ানি সার্ভ করেছে। ট্রেন চট্টগ্রাম পৌঁছানোর পর নিজাম থেকে বিরিয়ানি এনে বিকেল ৫টা নাগাদ লাঞ্চ করতে হলো, যদিও পুরো ট্রেনে কোনো খাবার নেই।
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিসের দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম সেল (বিআরসিটিসি)। যদিও রেলওয়ে ক্যাটারিং সার্ভিসের কেউই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান বলেন, আজকে আমাদের প্রথম দিন। খাবারের ব্যাপারে যে সামান্য অভিযোগ আছে, পর্যাপ্ত খাবার ছিল না— এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ক্যাটারিং সার্ভিসকে আমরা অবহিত করেছি। আগামীকাল থেকে ট্রেনে যেন মানসম্মত ও পর্যাপ্ত খাবার থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছি।
তবে পচা-বাসি খাবার সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত আরও ছবিসহ মূল প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন এখানে…